সংগঠনিক নোটিশ: গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ হলো জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতী, সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। এতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, সভার সময়সূচি, কর্মসূচির বিবরণ ও অন্যান্য তথ্য জানানো হয়। দলীয় সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের অবগতির জন্য এটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়।

image
বিস্তারিত দেখুন
single-16

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কথা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ভূখণ্ডীয় সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ শুরু করে। সূচনা লগ্ন থেকে জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর সন্তোষ অর্জন এবং পরকালীন মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যে আল্লাহ প্রদত্ত, রাসূল (সা) প্রদর্শিত বিধান মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামী অভ্যান্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ ও বহিঃশক্তির হুমকি বা আক্রমন প্রতিহত করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য সুসংহত করণ ও ইসলামী মূল্যবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে জামায়াতে ইসলামী গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকরণ, ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম, মানবাধিকার রক্ষা এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা তথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একদল দায়িত্বশীল নাগরিক এবং সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামী বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব শক্তিশালীকরণ এবং পারষ্পরিক শ্রদ্ধা ও ন্যায়নীতির ভিত্তিতে বিশ্বের সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্টা করতে আগ্রহী।

ইসলামের পূর্ণ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামী সকল নাগরিকদের মাঝে ইসলামের বাস্তব ছবি তুলে ধরা, তাদের চিন্তাধারা পবিত্র করা, তাদের হৃদয় ও মনে বাস্তব জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের অনুসরণের গুরুত্ব সম্পর্কে চেতনা জাগ্রত করার চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলামী ন্যায়বান ব্যক্তিদের সংগঠিত করার এবং তাদের দক্ষ ব্যক্তিত্বে উন্নীত করার কাজ করছে।

জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে একটা পরিবর্তন আনয়ন করার লক্ষ্যে জীবনের সব স্তরে প্রতিশ্র“তিরক্ষাশীল নেতৃত্ব গড়ার চেষ্টা করছে।

জামায়াতে ইসলামী এর অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক নির্বাচনে গণতন্ত্র চর্চা করে। এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব এর সদস্যদের ভোট দ্বারা নির্ধারিত হয়, যারা নেতৃবৃন্দের সততা, দক্ষতা এবং সাংগঠনিক বিচক্ষণতার দিকে দৃষ্টি রেখে তাদের ভোট দেন।

দায়িত্বশীল যারা

দায়িত্বশীলরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সংগঠনিক নেতৃবৃন্দ, যারা দলীয় নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। তারা দাওয়াত, সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রসারে তারা নিয়মিত তদারকি ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

দাওয়াতী কার্যক্রম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইসলামের দাওয়াত প্রচারে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে, যেমন মসজিদভিত্তিক সভা, সাহিত্য প্রচার ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করতে শিক্ষামূলক ও প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। রাজনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সংগঠনটি ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়।

ছবি গ্যালারী

ছবি গ্যালারী হলো বিভিন্ন দাওয়াতী, সাংগঠনিক ও সামাজিক কার্যক্রমের চিত্র সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের স্থান। এখানে জামায়াতে ইসলামীর সভা, সমাবেশ, মানবিক সহায়তা ও অন্যান্য কার্যক্রমের ছবি রাখা হয়। এটি দলীয় ইতিহাস, কর্মকাণ্ড ও জনসচেতনতা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়।