১. নারীর যথার্থ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের প্রতিভা ও যোগ্যতানুযায়ী কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা, সর্বত্র নারী-নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর সার্বিক অধিকার সংরক্ষণে অসহায় বিধবাসহ দুস্থ ও আশ্রয়হীন মহিলাদের পুনর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২. পতিতাবৃত্তি উচ্ছেদের লক্ষ্যে সংশোধন ও সামাজিক পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
৩. শিশু অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের ঘোষণানুযায়ী ''সবার আগে শিশু” শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিশু শ্রম বন্ধ, পথ শিশুদের পুনর্বাসনসহ যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
৪. এসিড নিক্ষেপ, ঘৃণ্য যৌতুক প্রথাসহ সকল ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
১. যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার এখনও সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন করা হয়নি তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
২. যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে।
৩. মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে আরও শক্তিশালী করা হবে।
৪. মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে এবং সন্তানদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা হবে।
৫. মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টকে কার্যকরী করা হবে।
৬. প্রতি বছর হজ্ব ডেলিগেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
১. মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে যুগপৎ নৈতিক ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাপকতর করা হবে।
২. প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিসহ অশিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত কর্মক্ষম যুবসমাজের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর, কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সহজশর্তে ব্যাংক ঋণ ও নানাভাবে অর্থায়নসহ সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
৩. উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ট্রেড ও ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হবে।
৪. দক্ষ, আধা দক্ষ ও অদক্ষ লোকদের জন্য বিদেশে ব্যাপক কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিদেশে লোক প্রেরণে সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করা হবে।
৫. প্রতিবন্ধীদেরকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আত্ম নির্ভরশীলতা অর্জনে ব্যাপক ক্ষুদ্রঋণ সহযোগিতা দেয়া হবে।
৬. তথ্য প্রযুক্তিকে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হবে।
৭. ব্যাংকগুলোকে তাদের বিনিয়োগের একটা অংশ আত্মকর্মসংস্থান মূলক প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হবে।
৮. পর্যটন শিল্পকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিকশিত করা হবে। পর্যটক হিসেবে দেশের জনগণকে আকৃষ্ট করার মত পদক্ষেপ নেয়া হবে। পর্যটন শিল্পে ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বকীয়তা ফুটিয়ে তোলা হবে।
৯. জেলখানার নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষাকে আরও গুরুত্ব দেয়া হবে।
১. শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রীতির মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করা হবে।
২. সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আইনী ও নাগরিক অধিকারের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
৩. প্রচলিত আইনের সংস্কার ও সংশোধন করে ন্যায় বিচারকে দ্রুততর করা হবে।
৪. আইন কমিশনকে সক্রিয় ও কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫. আইনের শাসন কায়েম করা হবে অর্থাৎ আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে।
৬. হরতাল ও অবরোধের মত ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বে-আইনী করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
৭. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নির্বাচনী আইন, বিধিমালা ও পদ্ধতির যথোপযুক্ত সংস্কার করা হবে।
৮. দীর্ঘদিন ধরে বিচারের জন্য অপেক্ষমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
৯. আদালতগুলোতে যোগ্য ও ন্যায়-বিচারক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
১০. সরকারী কৌশলী/আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে পেশাদার ও দক্ষ আইনজীবীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
১. বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ, গবেষণা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২. উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটান হবে।
৩. সু-শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক গভার্ন্যান্স চালু করা হবে।
১. সংকট কালে জনগণের চাহিদা মিটাতে বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্য, জ্বালানি ও সার আমদানি করা হবে। এব্যাপারে সরকারী ক্রয় আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হবে।
২. বে-সরকারী ডিলারের মাধ্যমে ভর্তুকিমূল্যে চাল বিক্রির জন্য প্রয়োজনানুসারে ওএমএস চালু রাখা হবে।
৩. টিসিবিকে সম্প্রসারণ অথবা নতুন সরকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে চাল, মুশুর ডাল, সয়াবিন তেল, গুঁড়োদুধসহ ভোগ্যপণ্য ক্রয় ও ভর্তুকিমূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
৪. চিনির মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চিনির উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাত করণ কার্যক্রম বাংলাদেশ সুগার এন্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের আওতায় আনা হবে।
১. শ্রমিকদের নিম্নতম বেতন কাঠামো এবং পুরুষ-নারীর বেতনভাতায় সমতা আনয়ন করা হবে।
২. ৬৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে শ্রমিকদের অবসর ভাতা দেয়া হবে।
৩. শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণ, কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় আহত বা নিহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং স্বল্প বেতনভোগী শ্রমিকদের বাসস্থান, চিকিৎসা ও তাদের সন্তান-সন্ততির শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
৪. শ্রমিকদের দুর্ঘটনা ভাতা প্রদান করা হবে।
৫. দেশ থেকে শিশুশ্রম উচ্ছেদ করে তাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন ও সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করা হবে।
৬. গার্মেন্টস শিল্পে নিয়োজিত মহিলা শ্রমিকদের ব্যক্তিগত, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৭. দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের হাত থেকে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা করা হবে।
৮. মহিলা শ্রমিকদের মাতৃকালীন ছুটি নিশ্চিত করা হবে।
১. ইসলামী আকীদা বিশ্বাস, হুকুম-আহকাম ও নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ইসলামী মৌলিক শিক্ষার ব্যবস্থা ও সালাত কায়েম করার যথাসাধ্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২. বই, পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রোনিক মিডিয়াতে ধর্মবিরোধী প্রচারণা ও কটূক্তিকারীদের প্রতিরোধ ও শাস্তি বিধানের জন্যে ব্লাসফেমী জাতীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।
৩. সকল ধর্মের লোকদের জন্যে পূর্ণ ধর্মীয় অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪. মসজিদ-মন্দির-গীর্জা ভিত্তিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নে বাস্তবমুখী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৫. রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রসহ সকল প্রচার মাধ্যমে ইসলামী আদর্শ প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৬. দেশের অন্যান্য ধর্মাবলম্বী নাগরিকগণ যাতে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে অনুসরণ এবং পালন করতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৭. মদ, জুয়া ও যাবতীয় অসামাজিক কাজ ও পাপাচার প্রভৃতি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে।
৮. মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনদের সম্মানী ভাতা দেয়া হবে। অন্যান্য ধর্মের একই মর্যাদার ব্যক্তিগণকেও সম্মানী ভাতা দেয়া হবে।
১. ইসলামের উপর গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রচার কল্পে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
২. ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অধিকতর শক্তিশালীকরণ ও এর আওতায় ইসলামি মিশনের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
৩. বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবসহ অন্যান ইমামগণের মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হবে।
৪. মসজিদ ভিত্তিক সামাজিক কার্যক্রম ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামকে সমাজে সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য ইমামগণকে প্রশিক্ষিত করা হবে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্প, পর্যটন, জন ও প্রাকৃতিক সম্পদের অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃতিগতভাবে মেধাবী, সৎ ও পরিশ্রমী। বিপুল সম্ভাবনাময় এ দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে এবং সুস্থ ও শান্তির সমাজ গড়তে প্রয়োজন সৎ, দেশপ্রেমিক ও দক্ষ নেতৃত্বের। এ উপলব্ধি থেকেই একটি আধুনিক ও উন্নত জীবন মানসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরি ও যোগ্য নেতৃত্ব উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের জনপ্রিয় ইসলামী সংগঠন এবং অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য প্রতিটি মানুষেরই উচিৎ মহান আল্লাহকে একমাত্র প্রভূ ও নবী মুহাম্মাদকে (সা)-কে আদর্শ নেতা হিসেবে মেনে নেয়া। জামায়াত এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে উপরোক্ত আহ্বান পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা মানুষের সমাজই একমাত্র বিশ্বমানবতার জন্যে শান্তি ও কল্যাণ আনতে সক্ষম। এমন সমাজ গঠন ও রক্ষায় সাহায্য করার জন্যে প্রয়োজন এর উপযুক্ত সরকারের। তাই একটি দায়িত্বশীল ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন সরকার গঠনের জন্য জামায়াত বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিক আন্দোলন পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ ও দেশের বাহিরে কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে না। বরং সকল মত ও পথের অনুসারীদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গণতান্ত্রিক পন্থায় জনগণের সমর্থন নিয়ে একটি কল্যাণকর, সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতাত্তোর সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করে ক্রমাগত সাফল্য অর্জন করে চলেছে।
আশির দশকে জামায়াতে ইসলামীর উপস্থাপিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলা দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৯১ সালে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার আন্দোলন শুরু হলে তৎকালীন সরকার এ ফর্মুলা মেনে নিয়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করে। যার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০০১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৭টি আসনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সাথে জোটবদ্ধভাবে সরকারে অংশ গ্রহণ করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ অত্যন্ত সততা, দক্ষতা, সাফল্য ও সুনামের সাথে জোট সরকারের কৃষি, শিল্প ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যা ইতিহাসে অবিস্বরনীয় হয়ে থাকবে।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ যে বিরল আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। কিন্তু যে স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে লাখো মানুষ অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন নেতৃত্বের কারণে তা আজও অধরা রয়ে গেছে। স্বাধীনতাত্তোর দেশের মেহনতী মানুষ বারবার বঞ্চনা ও শোষণের শিকার হয়েছে। ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে জনগণকে। গণতন্ত্রের জন্য অসংখ্য মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো হচ্ছে। সুশাসন ও মানবাধিকার এখন নির্বাসনে। যে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা ছিল, সে রাষ্ট্র-ই আজ উল্টো নাগরিক-নিপীড়নযন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎকে পাল্টে দিয়ে একটি সোনালী ভোরকে ছিনিয়ে আনতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাজারো জুলুম নির্যাতন, শাহাদাতের পথ পাড়ি দিয়ে এদেশের সবুজ ভূখন্ডে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর চেপে বসা নীতিভ্রষ্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিন ফুরিয়ে এসেছে। জনগণের আকাক্সক্ষা ও চাহিদার পথ ধরে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমদের সহায় হোন, আমীন।
March 18, 2025