বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুধীদের ভালোবাসা, চোখের পানি মিশ্রিত দোয়া, সেই সাথে আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতা আমরা পেয়ে থাকি। এই সহযোগিতা করেন বলেই জামায়াতে ইসলামী সমাজের দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পায়। মানবিক সহায়তার কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের সার্বিক সহযোগিতার ফলেই আপনাদের প্রত্যাশিত কাফেলার বাগানে গোলাপ ফুটবে। সেই গোলাপের সৌরভে বাংলাদেশ পবিত্র হবে। মহান আল্লাহর কুরআনের রাজ কায়েম হবে, ইনশাআল্লাহ। কুরআনের আইনে মানুষ সম্মান, ইজ্জত ভোগ করবে। আমরা সেই দিনটার জন্য লড়াই করছি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ প্রমুখ। সভায় মহানগরী দক্ষিণের সমাজসেবা ও সমাজ কল্যাণকমূলক কার্যক্রমের প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের সুধীদের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দো’য়া করি, মহান আল্লাহ যেন তাদের কল্যাণ দান করেন। সুধীদের ভালোবাসা, চোখের পানি মিশ্রিত দোয়া, সেই সাথে আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে থাকি। এই সহযোগিতা করেন বলেই জামায়াতে ইসলামী সমাজের দুঃখী মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পায়। রাজধানীর সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লাশ দাফন, রোগীর সেবা, কর্যে হাসানা, পুনর্বাসন, তৃণমূল পর্যায়ে গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। আরো অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ তারা হাতে নিয়েছে। এই কর্মসংস্থানের উদ্যোগকে সফল ও টেকসই করার জন্য অনেকগুলো কৌশলগত ও কারিগরি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা অন্তর থেকে কামনা করি, রাজধানীর দুই মহানগরী শাখা মানবতার সেবায় অনন্য নজির স্থাপন করতে পারেন। এটি তখনই সম্ভব হবে, যখন আপনাদের খোলা হাত আরো একটু আল্লাহর দিকে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আপনাদের আমানত যথাযথ হকদারের কাছে পৌঁছে দিতে সংগঠন আন্তরিক ও দায়বদ্ধ। আমরা সদা সর্তক থাকার চেষ্টা করে থাকি। তিনি বলেন, মহানগরী দক্ষিণ অনেকগুলো ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের দেওয়া আমানত নিয়ে তারা সরাসরি দুঃখী মানুষের কাছে চলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এর ফলে সমাজের দুঃখী মানুষের অভাব কিছুটা হলেও লাঘব হবে। ভালো কাজের আবাদ হচ্ছে। এতে অন্যরা এই কাজে উৎসাহিত হবেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রত্যেকটা ভালো কাজে নিয়ত সহিহ হওয়া দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সম্পদশালীদের সম্পদে হক রয়েছে যারা প্রার্থী তাদের। যারা বঞ্চিত তাদের হক রয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন যারা মানুষের প্রতি দয়া করে না আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করেন না। আল্লাহ তার প্রতি সহযোগিতা করেন যিনি মানবতার কল্যাণে হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি চলতি বছরে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সমাজকল্যাণ মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে এই বছরে ব্যাপকভাবে মানুষের প্রয়োজনে আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সেই ব্যাপকভিত্তিক সমাজ কল্যাণমূলক কাজে আপনার যাকাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রদান করে অবদান রাখবেন সেই প্রত্যাশা করছি। মহানগরীর সমাজ কল্যাণমূলক কাজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাদের হাত আরও সম্প্রসারিত করবেন। আমরা যেসব কার্যক্রম হাতে নিয়েছি তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। আপনারা আস্থা রাখতে পারেন, আপনাদের দেওয়া সহযোগিতা যথাযথভাবে আয়-ব্যয় এবং তা সঠিক ভাবে প্রদান করতে আমরা সচেষ্ট থাকবো ইনশাআল্লাহ। যারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাদের পাশে আমাদের ভাইয়েরা আন্তরিকতার সাথে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি সমাজের কল্যাণমূলক কাজে বিত্তবান সকলকে এগিয়ে আসার উদ্বাত্ত্ব আহবান জানান।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সূরা মুনাফিকুনের ১০নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ‘হে মুমিনগণ আমি তোমাদেরকে যা দান করেছি তা থেকে দান করো, সেদিন আসার পূর্বে যেদিন কোনো বন্ধু সুপারিশকারী থাকবে না। তোমরা খরচ করো তোমাদের মৃত্যু আসার আগেই’। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানবতার সেবায় বহুবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, এসব কাজ পরিচালনায় সম্মানিত দাতা সুধীদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা নিছক একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় বরং মানবতার কল্যাণের জন্য আমাদের আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য, তথাপি সুখি-সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার প্রয়োজনে আমরা মানুষের পাশে থেকে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায়বিচার, মানবতাকে উজ্জীবিত করার জন্য আমরা নানাবিধ সমাজ কল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছি। সে কাজে সম্মানিত সুধী ভাই-বোনদের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকার আহ্বান রাখছি।
সুধী সমাবেশে আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমান ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সমাজকল্যাণ ও মানবসেবা কর্মসূচির এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে আরও নতুন ২টি এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন (১টি লাশবাহী ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্স ও ১টি সর্বাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এম্বুলেন্স)। নতুন ২টি এ্যাম্বুলেন্স সহ মোট ৯টি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানবতার কল্যাণে ফ্রি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
March 17, 2025
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, “ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্বপ্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন কোন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলবো, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি। ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথা-বার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন অনুযায়ী বা কুরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।”
তিনি আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ঈদ পুণর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী প্রমূখ।
ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, “রাজপথে মাঠে ময়দানে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা আন্দোলনের লড়াকু, সংগ্রামী ও একনিষ্ঠ সহযোদ্ধা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। বিপ্লবী ও সাহসী জনশক্তি তৈরি করতে নেতৃবৃন্দের সহবতের বিকল্প নেই। তাই আমাদের অনলাইনের পরিবর্তে প্রকাশ্যে প্রোগ্রাম করতে হবে। অনলাইনে আরামপ্রিয় জনশক্তি তৈরি হবে, আল্লাহর দ্বীন বিজয়ের জন্য বিপ্লবী কর্মী তৈরি হবে না। ইকামতে দ্বীনের কাজকে ভালোভাবে বুঝে ময়দানে ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক জনশক্তির ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে এদেশের মানুষের মাঝে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত তথা জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। গত জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেনি। জামায়াতের নির্বাচনী তহবিলের এই টাকা জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। ব্যাপকভাবে সামাজিক কার্যক্রম চালাতে হবে। আমাদের হালাল রুজির উপরে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।”
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আল্লাহ তায়া’লা যে তাকওয়া অর্জনের জন্য রোযা ফরজ করেছেন, সেই শিক্ষাকে ধারন করতে হবে। অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে বেশী আমল করা হয়েছে। সেটা ধরে রাখতে হবে। সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কুরআন বুঝে বেশী বেশী তেলাওয়াত করতে হবে। ইসলামের দাওয়াত ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। আল্লাহর তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পদচারনায় প্রত্যেক অলিগলি মুখরিত রাখতে হবে। দাওয়াতী পক্ষে ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতী কাজ করতে হবে।”
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “তাকওয়া অর্জনের মূল লক্ষ্যই হল দ্বীনকে বিজয়ী করার আন্দোলন সংগ্রামে উত্তীর্ণ হওয়া। দ্বীন কায়েমের সংগ্রাম করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ইবাদত। আজকে বাংলাদেশের এই জমিনে জামায়াতে ইসলামীর অসংখ্য ভাই শহীদ হয়েছেন জীবন দিয়েছেন। সেই জমিনে দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়েই আমরা সত্যিকার অর্থে সামনে ঈদ উদযাপন করবো ইনশাআল্লাহ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতকে রাজধানীতে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে গণসংযোগ পক্ষকে কাজে লাগাতে হবে।”
এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “ইকামাতে দ্বীনের কাজ নবী রাসূলগণ করেছেন, এই কাজ আমাদেরকেও করতে হবে। পরকালে নাজাত পেতে ইকামাতে দ্বীনের বিকল্প নেই। গণসংযোগ পক্ষে প্রত্যেক মানুষের মাঝে কুরআনের দ্বীন কায়েমের দাওয়াত দিতে হবে। যত বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। আমাদের অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবিক আচরণের মাধ্যমে সকলকে আপন করে নিতে হবে।”
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের দোশরেরা আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তিন শতাধিক নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে। তারপরও আমাদের আন্দোলনকে থামাতে পারেনি। আমরা আমাদের ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।”
এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “ঈদের আগে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান কেন অবতরণ করেছে তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। এ ঘটনায় জামায়াত কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ বিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।”
মু. সেলিম উদ্দিন বলেন, “যারা তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য ঈদের আনন্দ। রমজানের তাকওয়ার ভিত্তিতে গণসংযোগ পক্ষ পালন করতে হবে। একজন ঈমানদার হিসেবে সত্যের দাওয়াত সবখানে পৌঁছানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
মনজুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা যে আন্দোলনে সম্পৃক্ত আছি তা আমাদেরকে ইহকালীন ও পরোকালিন মুক্তির পথ দেখায়। সেখানে ব্যক্তি হিসেবেও আমাদের নিজকে পরিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে পরিণত হতে হবে। এদেশে ইসলামকে বিজয়ী করতে সামাজিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মুলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে। এদেশে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যপকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। গণসংযোগ পক্ষে গ্রুপ ভিত্তিক দাওয়াতি কাজে দাওয়াতি বই ও উপকরণ নিয়ে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে কুরআনের দাওয়াত নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যের স্বাক্ষী হতে পারবো। সমাজের তৃণমূল থেকে সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে নিয়ে আসতে হবে। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।” তিনি শহীদ নেতৃবৃন্দের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য জামায়াতের কর্মীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, “ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কেউই আমাদের দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। আর সর্বপ্রথম দাওয়াত হবে নিজের নফসের প্রতি। আমাদের কথা ও কাজে যেন কোন অমিল না থাকে। যেটা মানুষকে করতে বলবো, সেটা যেন আমি নিজে আগে আমল করি। ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি জনশক্তির কথা-বার্তা, লেনদেন, সামাজিক কাজকর্ম আল্লাহর দ্বীন অনুযায়ী বা কুরআন অনুযায়ী হতে হবে। যতই বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।”
তিনি আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ঈদ পুণর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী প্রমূখ।
ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন, “রাজপথে মাঠে ময়দানে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা আন্দোলনের লড়াকু, সংগ্রামী ও একনিষ্ঠ সহযোদ্ধা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। বিপ্লবী ও সাহসী জনশক্তি তৈরি করতে নেতৃবৃন্দের সহবতের বিকল্প নেই। তাই আমাদের অনলাইনের পরিবর্তে প্রকাশ্যে প্রোগ্রাম করতে হবে। অনলাইনে আরামপ্রিয় জনশক্তি তৈরি হবে, আল্লাহর দ্বীন বিজয়ের জন্য বিপ্লবী কর্মী তৈরি হবে না। ইকামতে দ্বীনের কাজকে ভালোভাবে বুঝে ময়দানে ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক জনশক্তির ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে এদেশের মানুষের মাঝে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত তথা জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। গত জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেনি। জামায়াতের নির্বাচনী তহবিলের এই টাকা জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। ব্যাপকভাবে সামাজিক কার্যক্রম চালাতে হবে। আমাদের হালাল রুজির উপরে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।”
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আল্লাহ তায়া’লা যে তাকওয়া অর্জনের জন্য রোযা ফরজ করেছেন, সেই শিক্ষাকে ধারন করতে হবে। অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে বেশী আমল করা হয়েছে। সেটা ধরে রাখতে হবে। সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কুরআন বুঝে বেশী বেশী তেলাওয়াত করতে হবে। ইসলামের দাওয়াত ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। আল্লাহর তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পদচারনায় প্রত্যেক অলিগলি মুখরিত রাখতে হবে। দাওয়াতী পক্ষে ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতী কাজ করতে হবে।”
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “তাকওয়া অর্জনের মূল লক্ষ্যই হল দ্বীনকে বিজয়ী করার আন্দোলন সংগ্রামে উত্তীর্ণ হওয়া। দ্বীন কায়েমের সংগ্রাম করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ইবাদত। আজকে বাংলাদেশের এই জমিনে জামায়াতে ইসলামীর অসংখ্য ভাই শহীদ হয়েছেন জীবন দিয়েছেন। সেই জমিনে দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়েই আমরা সত্যিকার অর্থে সামনে ঈদ উদযাপন করবো ইনশাআল্লাহ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতকে রাজধানীতে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে গণসংযোগ পক্ষকে কাজে লাগাতে হবে।”
এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “ইকামাতে দ্বীনের কাজ নবী রাসূলগণ করেছেন, এই কাজ আমাদেরকেও করতে হবে। পরকালে নাজাত পেতে ইকামাতে দ্বীনের বিকল্প নেই। গণসংযোগ পক্ষে প্রত্যেক মানুষের মাঝে কুরআনের দ্বীন কায়েমের দাওয়াত দিতে হবে। যত বাঁধা আসুক আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। আমাদের অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানবিক আচরণের মাধ্যমে সকলকে আপন করে নিতে হবে।”
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের দোশরেরা আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তিন শতাধিক নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে। তারপরও আমাদের আন্দোলনকে থামাতে পারেনি। আমরা আমাদের ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।”
এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “ঈদের আগে ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান কেন অবতরণ করেছে তার জবাব সরকারকে দিতে হবে। এ ঘটনায় জামায়াত কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ বিরোধী চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।”
মু. সেলিম উদ্দিন বলেন, “যারা তাকওয়া অর্জন করেছে তাদের জন্য ঈদের আনন্দ। রমজানের তাকওয়ার ভিত্তিতে গণসংযোগ পক্ষ পালন করতে হবে। একজন ঈমানদার হিসেবে সত্যের দাওয়াত সবখানে পৌঁছানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
মনজুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা যে আন্দোলনে সম্পৃক্ত আছি তা আমাদেরকে ইহকালীন ও পরোকালিন মুক্তির পথ দেখায়। সেখানে ব্যক্তি হিসেবেও আমাদের নিজকে পরিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে পরিণত হতে হবে। এদেশে ইসলামকে বিজয়ী করতে সামাজিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “রমজানের প্রকৃত শিক্ষাকে আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। যারা রমজানে তাকওয়া অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন মুলত তাদের জন্যই ঈদের আনন্দ। আমীরে জামায়াতের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ চলবে। এদেশে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যপকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। গণসংযোগ পক্ষে গ্রুপ ভিত্তিক দাওয়াতি কাজে দাওয়াতি বই ও উপকরণ নিয়ে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে কুরআনের দাওয়াত নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যের স্বাক্ষী হতে পারবো। সমাজের তৃণমূল থেকে সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে নিয়ে আসতে হবে। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।” তিনি শহীদ নেতৃবৃন্দের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য জামায়াতের কর্মীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।
March 17, 2025
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, “দায়িত্বশীলদের কুরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। জনশক্তিরা দায়িত্বশীলদের কাছেই কুরআনি সমাধান খুঁজতে আসবে। চূড়ান্ত সফলতা সেই সাহসীরাই পায়, যারা এক আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতৃবৃন্দকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি আজ ১৯ এপ্রিল’২৪ জুমা’বার ‘গণসংযোগ ও দাওয়াতী পক্ষ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জনাব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও মোমেনশাহী অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারকী।
আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমান বলেন, “সকল দায়িত্বশীলকে উঁচুমানের আমল আখলাকের অধিকারী হতে হবে। নিজেদেরকে কুরআন সুন্নাহর আলোকে সাজাতে হবে। দাওয়াতী ময়দানে কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আমাদের সর্বপ্রথম নিজেকে দাওয়াত দিতে হবে। নিজেকে দ্বীনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এরপর পরিবারকে দাওয়াত দিতে হবে। পরিবারের কোনো সদস্যই যেন দাওয়াতের বাইরে না থাকে। আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশিদের হকের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পেশাগত জীবনে সম্পৃক্ত যারা আছেন তাদেরকে দাওয়াতের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”
তিনি বলেন, “আল্লাহ তায়া’লার উপর ভরসা করে এখন থেকে সাংগঠনিক সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে হবে। মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইব, তিনি যেন আমাদের পথচলাকে স্বস্তিদায়ক ও সহজ করে দেন। সকল দিক বিবেচনায় জনশক্তিকে অধিক পরিশ্রমী, শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদেরকে মূল উদ্দেশ্যের দিকে ফিরে যেতে হবে।
আজ জুমা’বার থেকে শুরু করে আগামী ১৫দিন গণসংযোগ ও দাওয়াতী পক্ষ পালন করা হবে। এটাকে আমরা বিশেষ অভিযান হিসেবে পালন করব। সারাবছরই আমাদের দাওয়াত চলে। কেন্দ্রীয় আমীর থেকে শুরু করে সকল স্তরের দায়িত্বশীলকে এই কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। সংগঠনের সকল স্তরের দায়িত্বশীলদেরকে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আদর্শিক পথচলা কখনোই সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতার জন্য এ পথের বিকল্প নেই। সুতরাং সর্বাবস্থায় আদর্শের ওপর টিকে থাকতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও কর্মপন্থা সুস্পষ্ট। কুরআন প্রদত্ত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত জীবনব্যবস্থাকে সার্বিক জীবনে গ্রহণ করে এগিয়ে চলাই আমাদের মূল বিষয়।
চট্টগ্রাম মহানগরী শুধু বাণিজ্যিক রাজধানীর দিক থেকে নয়, এটি ইসলামের সূতিকাগার। চট্টগ্রাম দিয়েই আল্লাহর দ্বীনের দ্বায়ীরা এদেশে প্রবেশ করেছিল। তারা কেউই বাংলা ভাষাভাষী ছিলেন না। তাদের চেহারা ভাষা দুটোই ছিল আমাদের থেকে ভিন্ন। কিন্তু তাদের ভাষা বুঝতে এদেশের মজলুম জনগণের কোন অসুবিধা হয়নি। মানুষ তাদের মুখের ভাষা না বুঝলেও তাদের বুকের এবং আমলের ভাষা বুঝতে পেরেছিল। আমলের সৌন্দর্যে অভিভূত হয়েই তারা আল্লাহর দ্বীনকে কবুল করেছিল।”
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত হয়ে শান্তিময় সমাজ গঠন করতে হলে রাসূলুল্লাহ সা. এর আদর্শের দিকে অবশ্যই ফিরে আসতে হবে। আর এই মহান আদর্শের চর্চা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে বাস্তবায়নের উত্তম সময় হলো মাহে রমজান। আমরা যদি মাহে রমজানের শিক্ষাকে সার্বিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে।”
তিনি বলেন, “ইসলামী সভ্যতার অন্যতম কাজ হল আল্লাহর দিকে ডাকা। দ্বীনের দিকে ডাকা হচ্ছে ইসলামের অন্যতম সুন্দর কাজ। স্বয়ং আল্লাহ হচ্ছেন সবচেয়ে বড় দ্বায়ী। তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাতের বীজ মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করাই হল দাওয়াত। প্রতিটি ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। সকল জনশক্তিকে দাওয়াতী কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি ব্যক্তিগত টার্গেট ভিত্তিক দাওয়াতী কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিভ্রান্ত মানুষকে দ্বীনের আলো পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা ইখলাসের সাথে চালিয়ে যেতে হবে।”
ড. ছামিউল হক ফারুকী বলেন, “দাওয়াতী কাজ সহজ কাজ নয়। দাওয়াত হল যুদ্ধ ক্ষেত্র। এখানে যে যত বেশি কৌশলী হবেন, তিনি তত সফলকাম হবেন। রাষ্ট্র, সমাজ,পরিবার এবং নিজের নফস এর পক্ষ থেকে দাওয়াতী কাজে বাধা আসবে। জীবন, স্বাস্থ্য ও সম্পদ ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কখনো কখনো অপ্রাপ্তি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়া অধৈর্যের কারণ হতে পারে। সুতরাং আগামী দিনে ইসলামী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে হলে মানুষের মেজাজ বুঝে দাওয়াতী কাজ করতে হবে এবং বুদ্ধিভিত্তিক ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “যেকোনো আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে দাওয়াত দেয়া অপরিহার্য। সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামগণ আল্লাহর দিকে মানবজাতিকে আহ্বান করেছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর দিকে আহ্বানের জন্য দাওয়াতী কাজ করে এসেছে। আমাদের দাওয়াত মুসলমানদের জীবন গঠন ও ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত। বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন চট্টগ্রামের ময়দান ইসলামী আন্দোলনের জন্য খুবই উর্বর। কাজেই এই নগরীতে তৃণমূল পর্যায়ে আমাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড.আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ। দারসূল কুরআন পেশ করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক আহমেদ।
March 17, 2025